ব্রহ্মপুত্র থেকে বালু উত্তোলনে ব্রিজের মুখ ভরাটে কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ

আইন আদালত জাতীয় রংপুর রাজনীতি সারাদেশ

ব্রহ্মপুত্র থেকে বালু উত্তোলনে ব্রিজের মুখ ভরাটে কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ

মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ

উলিপুর উপজেলার ৬নং বুড়াবুড়ী ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদে সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে,তারা কবরস্থানের সাইনবোর্ড লাগিয়ে অন্যের বসতভিটা উত্তোলন করে।

গত কয়েক মাস আগে দিন-রাতে একাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে তারা এ বালু উত্তোলন করেন। ফলে নদীর পাড় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় নদীর তীরে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরবাড়ি ও বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আবারও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে এ কার্যক্রম চলছে প্রশাসন তা বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

স্থানীয় ভূমি অফিসের দাবি,বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তা না মেনে ক্ষমতার প্রভাবে কোন তোয়াক্কা করছেন না।

জানা গেছে, বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের পাকার মাথা কদমের তল গ্রামে নদীর পাশে হয়েছে সরকার নির্মিত রাস্তা এবং কয়েকটি গ্রামের লোক পারাপারের জন্য একটি ব্রিজ আশ্রয়ণ কয়েক শতাধিক ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছেন। কিন্তু পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা এ বালু বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এমনকি ওই এলাকায় নির্মাণাধীন বিভিন্ন বাড়িতে বালু তারা বিক্রি করছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদীর তীরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মচ্ছব চলছে। কয়েক একর জমির উপর বালুর বড় বড় স্তুপ দেখা গেছে।

 

এসময় বালু কারা উত্তোলন করে মেশিন অপারেটর কাছে জানতে চাইলে তারা কয়েকজন এখান কার স্থানীয় নেতার কথা বলেন।

এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে বলেন আমি বালু উত্তোলন করব যদি কারো কোন এ বিষয়ে কথা বলার থাকে বলেন কোন লাভ হবে না আমরা যা বলব এখন থেকে তাই হবে।

এলাকাবাসীরা জানান, রাজনৈতিক দলের নেতারা এখনই ক্ষমতায় না থেকেও দাপট দেখিয়ে নদীর বালু বেপরোয়াভাবে উত্তোলন করছেন। তারা দিনরাত মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এতে নদীর তীরবর্তী আশ্রয়ণ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য যে সরকারি বরাদ্দে ব্রিজ দেওয়া হয় সেটিও ভরাট করে আশপাশের ঘরবাড়ি ও জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে।

তাদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাকের ডগায় দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু তোলা হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু উত্তোলনের ফলে তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে ঘরগুলো মাটিতে দেবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

এদিকে এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও ছাত্র বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই খুব শিঘ্রই সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *