বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ আড়াই মাস পর ফেরত 

আইন আদালত আন্তর্জাতিক খুলনা জাতীয় দুর্ঘটনা সারাদেশ

বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের

মৃতদেহ আড়াই মাস পর ফেরত 

মোঃ অমিদ হাসান মাহবুব, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত যুবক ওবাইদুল হোসেনের মৃতদেহ অবশেষে আড়াই মাস পর বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে ভারত।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস এর কাছে শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফ এবং দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

নিহত ওবাইদুল হোসেন মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

পরদিন ২৭ এপ্রিল ভারতের মধুপুর গ্রামে, মূল সীমান্ত পিলার ৪৮-এর নিকটে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ভারতের ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন বিজিবিকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানালেও প্রথমে মৃতের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। পরবর্তীতে ভারতের স্থানীয় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়।

নিহতের পরিবার দাবি করে, ওই মরদেহ তাদের ছেলে ওবাইদুলের। তারা বিজিবির মাধ্যমে মরদেহ ফেরত চেয়ে লিখিত আবেদন করে। এরপর শুরু হয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক তৎপরতা। সবশেষে ৯ জুলাই বিএসএফ জানায়, ভারতীয় পুলিশ মরদেহ হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিএসএফের কাছে পাঠানোর পর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

শনিবার দুপুরে ভারতীয় পুলিশ ওবাইদুল হোসেনের মরদেহ শূন্যরেখায় নিয়ে আসে। সেখানে নিহতের বাবা মো. হানেফ আলী ও মা মোছা. নাছিমা খাতুন ছেলের গায়ের পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন।

পরে ভারতীয় পুলিশ মরদেহ বিজিবির মাধ্যমে মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। নিহত পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

বিষপানে গ্রাম পুলিশের মর্মান্তিক মৃত্যু !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *