
কুড়িগ্রামে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টহল
মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ
আজ রোববার ৭ জুলাই কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।
রবিবার (৬ জুন) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ টহল অব্যাহত রাখা হয়।
পুলিশ জানায়, উপজেলা রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট, থানাহাট ইউনিয়নের সবুজপাড়া, কলেজমোড়, পাম্প মোড় ও রমনা ইউনিয়নের শরীফেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এ নজরদারি করা হয়।
পুলিশ লাইন্স কুড়িগ্রাম ও চিলমারী থানা পুলিশের সমন্বয়ে ওসি আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে এসব জায়গায় বিশেষ নজরদারি করা হয় বলে জানা গেছে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এই নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও যে মামলাটি হয়েছে, সে মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আব্দুল বারি সরকারকে আহ্বায়ক ও আবু হানিফাকে সদস্য সচিব করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ।
কমিটি প্রকাশের এই কমিটি বাতিলের দাবিতে ওইদিন দুপুরেই বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির একাংশ।
এ ছাড়া ওই দিন রাতেই মশাল মিছিল করে কমিটি বাতিলের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। মশাল মিছিলের পর পরই উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন জিয়াকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
সেই সঙ্গে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাইদ হোসেন পাখি ও সদস্য আব্দুল মতিন সরকার শিরিনকে পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।