
কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহাল ও লাকসাম জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
লাকসাম প্রতিনিধিঃ
লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সমন্বয়ে কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পূনর্বহাল এবং লাকসাম জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজনের নেতৃত্বে মিছিলটি দৌলতগঞ্জ স্টেশন জামে মসজিদ চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম বাইপাসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সমন্বয়ে কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পূনর্বহাল ও লাকসাম জেলা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বক্তারা উল্লেখ করেন, কারো আবেদন কিংবা দাবি ছাড়াই কুমিল্লা-৯ আসনকে দ্বিখন্ডিত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য এই ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় তারা লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি হিসেবে কুমিল্লা-৯ আসনকে পুনর্বহালের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানান।
এছাড়াও সমাবেশে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি লাকসামকে অবিলম্বে জেলা ঘোষণার আহবান জানানো হয়।
বক্তারা কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহাল ও লাকসাম জেলা বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অন্যথায় দাবি আদায়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন, সাবেক কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম, হাফেজ পেয়ার আহমদ, ফখরুল ইসলাম মাসুম, ফারুক আল সারাহ, নুরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আবু বকর জাহিদ।
লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন বলেন, কুমিল্লা-৯ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসন নিয়ে কারো কোন অভিযোগ ছিল না, বিনা উস্কানিতে অন্তবর্তীকালিন সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য এই হটকারি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজকের জনরোষ দেখে এই প্রস্তাবনা থেকে সরে আসতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান তিনি। একই সাথে লাকসামের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি লাকসামকে জেলা ঘোষণা করার জোর দাবিও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচীর পর নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ না নিলে জনগনকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।